• শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ০৮:৪৬ অপরাহ্ন |
  • English Version
ব্রেকিং নিউজ :
মন্তব্য কলাম- স্বাগতম জাতীয় নেত্রী, মাননীয় বেগম খালেদা জিয়া——– মতিউল আলম আব্দুর রউফ তালুকদার বিএনপির কেউ নয়,দল তাকে আজীবন বহিষ্কার করেছে জামালপুরে টর্চের আলোতে জুয়া খেলার সময় সাত জুয়াড়ী গ্রেফতার সাবেক আইজিপি আব্দুল কাইয়ুমের খাতেমন মঈন মহিলা ডিগ্রি কলেজ পরিদর্শন: শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় ও শিক্ষার মানোন্নয়নে অঙ্গীকার জামালপুরে মাস ব্যাপী অনূর্ধ্ব ১৪ অ্যাথলেটিকস প্রশিক্ষণের শুভ উদ্বোধন জামালপুর ব্যাটালিয়নের (৩৫ বিজিবি) অভিযানে আসামীসহ প্রায় এক কোটি ছেষট্টি লক্ষ টাকার মালামাল সহ আসামী আটক দ্রুত নির্বাচন দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে ……. সাবেক আইজিপি আবদুল কাইয়ুম জামালপুর জেলা জাতীয়তাবাদী আইন ছাত্র ফোরামের নেতা আলামিনের পিতার মৃত্যুতে এম শুভ পাঠানের শোক প্রকাশ জামালপুরে ক্রীড়া পরিদপ্তর বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচির ২০২৪- ২৫ এর আওতায় মাসব্যাপী সাঁতার প্রশিক্ষণের উদ্বোধন জামালপুরে এম শুভ পাঠানের নেতৃত্বে সাবেক এমপি নাসিরউদ্দিন পিন্টুর দশম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

জামালপুরে পাঁচ জেএমবি সদস্যকে ১৫ বছরের সশ্রম কারাদন্ড

জামালপুর প্রতিনিধিঃ
জামালপুরে পাঁচ জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) সদস্যকে ১৫ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে জামালপুর বিশেষ আদালত। বুধবার দুপুরে জামালপুর বিশেষ আদালতের বিচারক স্পেশাল জজ মোহাম্মদ জহিরুল কবির এই দন্ডাদেশ দেন।
দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলো- ময়মনহিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার গয়েশপুর গ্রামের সৈয়দ আলীর ছেলে কারী সাইদুর রহমান (৪০), চন্ডিমন্ডপ গ্রামের নবাব আলীর ছেলে আক্কাস আলী (৩৮), জামালপুর সদর উপজেলার চিথলিয়া গ্রামের ফয়েজ আলীর ছেলে সাইদুল মিয়া (৪৮), দখলপুর গ্রামের সেকান্দর আলীর ছেলে মো: রুকনুজ্জামান (৩১) ও বন্দ চিথলিয়া গ্রামের সুরুজ আলীর ছেলে আজিজুল হক (৫০)।
রায় ঘোষণার পর রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পিপি মোহাম্মদ খাজা আলম জানান, ২০০৯ সালের ১৫ জুলাই গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জামালপুর সদর উপজেলার বন্ধ চিথলিয়া গ্রামের আজিজুল হকের বসত ঘরে অভিযান পরিচালনা করে ময়মনসিংহ র‌্যাব-৯। এ সময় নাশকতামূলক কর্মকান্ড ঘটানোর উদ্দেশ্যে লোহার পাইপের শর্ট পিস, কাঁচের বোতল, আনুয়ঙ্গিক বিস্ফোরক দ্রব্য ও জিহাদী বইসহ জেএমবি’র সক্রিয় সদস্য কারী সাইদুর রহমান ও আক্কাস আলীকে আটক করা হয়। পরে তাদের তথ্যমতে একই অভিযোগে সাইদুল মিয়া, মো: রুকনুজ্জামান ও আজিজুল হককে আটক করা হয়। আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইনে জামালপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলা দায়েরের পর অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত আসামীদের জেলা হাজতে প্রেরণ করেন। ২০০৯ সালের ২৭ আগষ্ট অভিযোগপত্র দাখিলের পর একই বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর মামলাটি বিচারের জন্য জেলা ও দায়রা জজ আদালতে প্রেরণ করা হয়। পরবর্তীতে মো: রুকনুজ্জামান জামিন নিয়ে বর্তমানে পলাতক রয়েছে। এরপর ২০১৩ সালের ৩ মার্চ মামলটি নিষ্পত্তির জন্য বিশেষ আদালতে প্রেরণ করা হয়। ৯ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষের ভিত্তিতে দীর্ঘ বিচারের পর প্রত্যেককেই সন্ত্রাস বিরোধী আধ্যাদেশ ২০০৮ এর ৮ ধারা অনুযায়ী ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ড, ৯(৩) উপধারায় ৫ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদন্ড এবং ১০ ধারা অনুযায়ী ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন জামালপুর বিশেষ আদালত। পলাতক আসামী ব্যাতীত অপর চার আসামীর উপস্থিতেই এই রায় দেয়া হয়। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি ছিলেন অতিরিক্ত পিপি মোহাম্মদ খাজা আলম এবং আসামী পক্ষের আইনজীবি ছিলেন অ্যাডভোকেট মো: জাবেদ আলী, শেখ মো: আবুল কালাম আজাদ ও মো: জাহাঙ্গীর আলম।

 


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।